বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন
রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি॥ দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে করোনা ভাইরাস (কেভিড-১৯) উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীগন। পূর্ববর্তী সময়ের থেকে ক্লিনিকে দিন দিন রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারপরও পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালীতে করোনা ভাইরাসের মহামারিতে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে ঝুকি নিয়েই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশমতে সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এসব কমিউনিটি ক্লিনিকের ‘কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার’ নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
করোনার এই মহামারীতে সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালে গিয়ে রোগীরা সঠিক চিকিৎসা সেবা না পেলেও কমিউিনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী সিএইচসিপি’রা তাদের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন সর্বক্ষন। সিএইচসিপিদের এমন সেবা পেয়ে সন্তুষ্ট গ্রামের হতদ্ররিদ্র মানুষগুলো সহ জনসাধারণ।
পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় সর্বমোট ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা কেন্দ্র রয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে বেশির ভাগই ক্লিনিকগুলো হওয়ায় এখানে সর্বসাধারণরা সেবা নিতে আসে। বঙ্গবুন্ধর স্বপ্নের গড়া এই কমিউনিটি ক্লিনিকে গ্রামের হতদরিদ্র মানুষগুলো বিনা মূল্যে সপ্তাহে ৬ দিন সেবা ও ঔষধ পেয়ে অনেকটা উপকৃত হচ্ছে।
মঙ্গলবার উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়ন এর মুখরবান্দা কমিউনিটি ক্লিনিক ঘুরে দেখা যায়, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রোগীরা ঔষধ এবং চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। অন্যান্য সময়ের চেয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে রোগী বেড়েছে দ্বিগুন হারে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ায় উল্লাসিত স্থানীয় রোগীরা। কিন্তু যারা এই ঝুকির মধ্যে সেবা দিচ্ছে (সিএইচসিপি) তাদের নেই কোন সুযোগ, নেই কোন সুবিধা, শুধু আছে প্রশ্নবিদ্ধ লাইফ সাপোর্ট।
বেশির ভাগই মৌসুমি জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যাথা, পেট ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, বমি ও পাতলা পায়খানা এ ধরণের সমস্যা নিয়ে আসা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে এসব ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা।এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার মুখরবান্দা কমিউনিটি এর সিএইচসিপি মোঃ নাইমুর রহমান বলেন; আমরা প্রতিনিয়ত ঝুকি নিয়েই সেবা দিচ্ছি, কেন না গ্রামের মানুষগুলো ততটা সচেতন না হওয়ায় তারা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে বেশী ভীর করছে।
Leave a Reply